সুন্দরবন ব্যবস্থাপনার নিয়মিত কার্যক্রমসমূহ যেমন টহল ফাঁড়ি কেন্দ্রিক টহল প্রদান, মৎস্য আহরণ, গোলপাতা, মধু সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সুন্দরবনের ৪টি রেঞ্জের প্রত্যেকটিতে জানুয়ারি, ২০১৮ থেকে স্মার্ট প্যাট্রলিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সাইবার ট্র্যাকর ও অত্যাধুনিক সাজ-সরঞ্জাম এবং অস্ত্রসজ্জিত ৮ সদস্যবিশিষ্ট মোট ৮টি স্মার্ট টহল দল গঠন করা হয়েছে। টহল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রত্যেকটি টহলদলের জন্য ১টি করে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফাইবার বোট এবং এগুলো পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ক্রু প্রদান করা হয়েছে। সাইবার ট্র্যাকারের মাধ্যমে সকল টহলের ট্র্যাকলাইন, ওয়েপয়েন্ট ইত্যাদিসহ ছবি ও তথ্য সরাসরি স্মার্ট ডাটাবেজে আপলোড করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি টহল দল সুন্দরবনের অভ্যন্তরে মূল বোটে (লঞ্চে) অবস্থান করে একটানা ১০ দিনের একটি করে টহল সেশন পরিচালনা করে আসছে।
সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা এবং অবস্থান নির্ণয়ের জন্য ক্যামেরা ট্র্যাপিং কার্যক্রম ফেব্রুয়ারি ২০১৮ হতে শুরু হয়েছে। সমগ্র সুন্দরবনে খাল সার্ভের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীর প্রাচুর্যতা নির্ণয়ের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ইউএনডিপি (UNDP)-এর সহায়তায় ডলফিন সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। ডলফিনের নতুন অভয়ারণ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে সার্ভে কাজ চালু হয়েছে।
সুন্দরবনের বৃক্ষাচ্ছাদন নির্ণয়ের জন্য জরিপ কার্যক্রম (Forest Inventory) শুরু হয়েছে এবং মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পের সহায়তায় সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনে কুমির জরিপের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সুন্দরবনে সাম্প্রতিক সময়ে প্রজাপতি জরিপ সম্পন্ন হয়েছে।